anecdotes

Uprooted

সালটা 2016, বেশ কয়েক বছর জামসেদপুর, মুম্বাই ঘুরে কলকাতায় সবে কয়েক বছর কাটিয়েছি। এমন সময় Thailand রিলোকেট করার একটা প্রস্তাব এলো, alternate option ছিলো কম্পানির Netherlands অফিস at Ijmuiden।

অনেক হিসাব কষে Bangkok অফারটা accept তো করলাম, কিন্তু কলকাতার বন্ধুবান্ধব, জমজমাট আড্ডা, পূজোর হইচই ছেড়ে চলে আসাটা সহজ ছিলো না। বনি তো বলেই দিলো যে একটা চারা গাছকে তুলে আরেক জায়গায় লাগানো যায়, কিন্তু সেটা বড় গাছ হয়ে শিকড় হয়ে গেলে সেটাকে relocate করা খুব কঠিন।

Juneএ charge takeover করে কয়েকবার আসা যাওয়া করলেও ওদিকের কাজকর্ম সব গুটিয়ে move করতে করতে September হয়ে গেলো। প্রথমে একাই shift করেছিলাম, বনি দু-তিন মাস পরে আসবে। Bangkok তখনও মোটামুটি অচেনা শহর, আর চেনাজানা তো কেউই নেই। এক দু সপ্তাহ একটু boringই কাটলো। ওদিকে সামনে পূজো আসছে, কলকাতায় residential complexএ পূজো preparation পুরোদমে চালু হয়ে গেছে। একদিন ভাবলাম একটু খুঁজে দেখি Bangkokএ কোনও বাঙ্গালীদের association আছে কিনা। পেয়েও গেলাম, ভারতী বেঙ্গলী আ্যসোসিয়েসন আর একটা মোবাইল ফোন নম্বরও পেয়ে গেলাম।

ফোন করতেই ওপারে এক জয়শঙ্করকে পেয়ে গেলাম এবং সোজা আমন্ত্রণ, আগামী শনিবার আমাদের Dandiya আছে, চলে আসুন। সেই শুরু…

ভারতীর দূর্গাপুজো, চারদিনের দেদার আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, তার আগে একমাস ধরে গান-নাটকের rehearsal, ভারতীর picnic, এসব করতে করতে কবে যে পরিচিতির গণ্ডী ছড়িয়ে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো বলা মুস্কিল। এখন তো সারা বছরে এমন একটা weekendও পাওয়া মুস্কিল যেদিন কোনও না কোনও বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা মারার invitation থাকে না।

শিকড়টা এবার এতটা ছড়িয়ে গেছে, এবার গাছটা relocate করা সত্যিই খুব কঠিন হবে!

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *